গোলাপ, তোমাকে

গোলাপ তুমি কি লুকিয়েছ মুখ ভবঘুরে কোনও
মেঘের আড়ালে? আমার দগ্ধ বক্ষে তোমার
অশ্রুকণারা যে কবে শুকিয়ে গিয়েছে, জানি না।
কত যে ভস্ম হাওয়ায় উড়েছে, তুমিও তো তার
হিসেব রাখোনি। শুধু মনে পড়ে, ফুটেছিলে তুমি
হৃদয়ে আমার খুব নির্জনে। অন্ধ পাখির
ক্রুদ্ধ নখর করেছে ছিন্ন তোমার পরাগ,
বেদনায় কালো হয়েছে হৃদয় হু হু সন্ধ্যায়।
গোলাপ তোমার বোবা কান্নায় ছিল মিশ্রিত
কত অকথিত গাথার বিলাপ বিষাদে গীত।

গোলাপ তোমার উদ্দেশে হাত বাড়ালেই আমি
ইদানিং হায় ছুঁয়ে ফেলি শুধু তুমিহীনতাকে।
মগজে কুয়াশা, দু’চোখে কুয়াশা, কুয়াশা হৃদয়ে;
কাঁটাতারে চোখ ছিঁড়ে যেতে চায়, ফণিমনসার
গোঁয়ার কাঁটার আঘাতে ওষ্ঠ হয় চৌচির,
গোলাপ তোমার সন্ধানে আমি বাউলা হয়েছি!

মেঘদল আর হিলহিলে সব শস্যের মাঠ,
দিঘির পদ্ম, তারাগুলো বলে, পাবো না তোমাকে,
কখনও পাবো না। অথচ নিত্য তোমাকেই খুঁজি,
তোমাকেই দেখি ভোরবেলাকার প্রথম রোদের

ঝর্ণাতলায়, কখনও মেঘের পালকিতে আর
গারো পাহাড়ের গোধূলি রঙিন গাঢ় প্রচ্ছদে,
কখনও নিঝুম জ্যোৎস্নাপ্লাবিত পাকদণ্ডিতে
কখনও রূপালি মহানন্দার প্রখর ধারায়।