গ্রীষ্মে তার নিজের কথা

ক’দিন থেকে শহর বদরাগী
ড্রাগন যেন, দুপুর হলে চড়া
হাওয়ায় ছোঁড়ে হল্কা আগুনের।
সত্তাময় দারুণ ধু-ধু খরা।

পাখার ব্লেড ঘুরছে অবিরত,
মধ্যদিনে গায় না গান পাখি?
নেইকো ক্ষতি, রোডিয়োগ্রাম খোলা-
ডিভানে শুয়ে ফিল্মী সুর চাখি।

এ গরমের তাল পাকানো রীতি,
দুপুর বেলা বাইরে যাওয়া দায়।
রাস্তাগুলো তপ্ত তাওয়া যেন,
শহর রোদে হাঁপায় অসহায়।
ভাগ্যে ছিল তেজারতির টাকা
পুণ্যবান পিতৃপুরুষের।
খাচ্ছি তাই অনেক ছলেবলে
আদর আজো সুখের বুরুশের!

বেকার নেই, আমারও আছে কাজ,
কালো বাজারে তাল বেতাল আমি।
চাঁইয়ের সাথে নিত্য ওঠা বসা,
ভাগ্য তাই আমার অনুগামী।

এমন দিনে হেঁসেলে বসে তুমি
ছ্যাঁচড়া রাঁধো, কাপড় কাচো ক্ষারে।
স্বপ্ন কিছু গিয়েছে মারা মাঠে,
যৌবন তো পালায় চুপিসারে।
মেঘলা মুখ? বলোতো আজ কেবা
তোমার মান করবে ভঞ্জন?
ঠাণ্ডা ঘরে নীহার বাবু আজো
আমার মন করেন রঞ্জন।

অনেক উঁচু তলায় আমি থাকি,
শুনিনা তাই বামন দিলে হাঁক।
কী করে আজ পশবে কানে বলো
তোমার সেই কান্না-ভেজা ডাক?