হেমন্ত সন্ধ্যায়

হেমন্ত হলুদ পিঠ খানিকটা চুল্‌কে নিয়ে উদাস হয়েছে
পড়ে না চোখের পাতা, কৃষকেরা শস্য কেটে ক্ষেত
নগ্ন করে ফিরে গেছে ঘরে; কিছুক্ষণ পরে
কুয়াশার বোরখায় ঢেকে যাবে সন্ধ্যায় শরীর।

কী করবো সন্ধ্যায় আজ? বসে থাকি একা, মাঝে-মাঝে
বাইরে তাকাই; নার্সারির
চারাগাছগুলো স্তব্ধ, আকাশে অস্পষ্ট চাঁদটিকে
চোখ টেপে নক্ষত্রের যৌথ প্রক্রিয়ায়।

আপন চেয়ারে বসে ঘন ঘন চুল টানি, ছিঁড়ি
শূন্যের কুসুম কত, কষ্ট পেতে থাকি
ক্ষণে ক্ষণে তার কথা ভেবে।
কোন্‌ সে সাঁকোর নিজে দাঁড়ানো আমার বিয়াত্রিচে?

মিলান ভেনিস কিংবা ফ্লোরেন্সেও নয়, এই শহরেই আজ
নিভৃতে করেন বাস আমার আপন বিয়াত্রিচে;
সময়ের রেণু সমুদয় উড়ে উড়ে তাকে ছোঁয়
আর তার আঙুলের ডগায় সোনালি মৌমাছির ধ্বনি জাগে।

হেমন্তে হরিদ্রাভ পিঠের ক্ষতটি
বলে, ‘কবি, আমাকে করাও স্নান, করো নিরাময়’
যে আমাকে ভালোবাসে তাকেই কাঁদিয়ে
বারবার, পুড়িয়ে নিজের চোখ অশ্রুহীন আমি;
কীভাবে সারাবো ক্ষত? কী করে ঝরাবো
অব্যর্থ শিশির আর্ত হেমন্তের পীড়িত শরীরে?