যে আমাকে লেখায়

সাত বাজার ঘুরে ভরদুপুরে এক বুক তৃষ্ণা নিয়ে
ঘরে ফিরে এসে ঢক পানি খেয়ে
জুতো না খুলেই সটান শুয়ে পড়লাম
বিছানায়। আমার ওপর বইতে থাকে স্বস্তির নদী।
কয়েকটি টুকরো সংলাপ, কিছু বচসা,
কিছু দ্রব্যের বাহারী চেহারা
আমার মগজে ঘুরঘুর করছিল এবং
বুক শেল্‌ফের দিকে তাকিয়ে ভাবছিলাম
কোন্‌ কোন্‌ বই এখনো
পড়া হয়নি। কে জানে কখনো পড়া হবে কিনা।

বারবার টেলিফোন সেটে সতৃষ্ণ দৃষ্টি দিই;
কতদিন তার সঙ্গে দেখা হয়নি,
এই সরল সত্য আমাকে শাসন করে কিছুক্ষণ।
একটি কি দু’টি কবিতা লিখলেই, বই পড়লে
কিংবা গান
শুনলেই কি একজনকে দেখতে না পাওয়ার বেদনা
আড়াল করা যায়?

বাজে কাগজের ঝুড়িতে নজর পড়ে হঠাৎ
সেখানে কি খুঁজে পাবো না-লেখা
কবিতার উপাদান? ক্লান্ত আমি ভাবছি, শুধু ভাবছি।
তার সঙ্গে দেখা হবে কি আজ, যে আমাকে লেখায়?