যদি সেই ঝড়কে

আমার ক্ষণকালের
নীরবতাকে ভুল বুঝে
তোমার ব্যাকুলতা সেদিন
সন্ধ্যার অন্ধকারে
আমার নিঃশব্দতাকে প্রশ্ন
করল,
‘সে কি ক্লান্ত আমাকে
ভালোবেসে?’

সেই প্রশ্নের বিদ্যুৎ-প্রবাহে
চমকে ওঠে
আমার অস্তিত্ব। আমি তোমার
ব্যাকুলতার উদ্দেশে
বলি, বোলো, তাকে বোলো,
যদিন গোলাপের সৌন্দর্য
আমাকে
ক্লান্ত করবে, যেদিন
জ্যোৎস্নারাতের বিহ্বল
ঐশ্বর্যের প্রতি নিঃসাড় থাকব,
যেদিন কোকিলের ডাক
আমার শোণিতধারাকে চঞ্চল
করবে না,
যেদিন নদীর ঢেউ দেখেও
নিস্পৃহ থাকব,
যেদিন ভোরবেলার আবীর
আমার মনকে আর
রাঙিয়ে তুলবে না,
যেদিন স্বাধীনতা আমাকে
উদ্দীপ্ত করবে না আর,
যেদিন জীবনের চুম্বন ব্যর্থ
হবে আমার ওষ্ঠে,
সেদিন, শুধু সেদিন ভালবাসা
আমাকে অবসন্ন করতে
পারবে, তার আগে কিছুতেই
নয়।

কী ক’রে থামাবো তোমার
ব্যাকুলতার ঝড়?
আমার নিরপরাধ নীরবতাকে
শত বাঙ্ঘয় ক’রেও
ব্যর্থতার বালিয়াড়িতে মুখ
থুবড়ে প’ড়ে থাকব,
যদি সেই ঝড়কে তুমি নিজে
না পাঠাও নির্বাসনে।

১০.৩.৯৪