যখন কবিতা হরতাল করে

এই যে এখন চারপাশে যা ঘটছে ইতস্তত,
বস্তুত সেসব দেখে শুনে মন মেজাজ যখন
ভীষণ বিগড়ে যায়, রবীন্দ্রনাথের
গান কিংবা বেলায়েত খাঁর সেতার শোনার পর
আবার আকাশে চোখ রেখে
অথবা পেয়ারা গাছে আলোর কাঁপন
দেখে কিংবা জীবনানন্দের
কয়েকটি পঙ্‌ক্তি পড়লেই সহজে মেজাজ খুব শান্ত নদী।

কখনো আমার টেলিফোন গৌরী বেশি
ব্যস্ত পেলে অথবা আমার কোনো কথা
তার মনে যদি কালো মেঘ
সৃষ্টি করে, ক্রোধের বেড়াল তাকে আঁচড়াতে থাকে,
আমার কথাই ফের লহমায় সেই কালো মেঘ
এবং বেড়ালটিকে বহুদূরে তাড়িয়ে ঝোঁটিয়ে নিয়ে যায়।

যখন কবিতা অকারণ হরতাল করে বসে
আমার বিরুদ্ধে কিছুকাল
তার মানভঞ্জনের কোনো উপাদান
কী নিসর্গে কী মানুষে কোথাও পাই না খুঁজে। সে যে
কোথায় আড়ালে আবডালে থাকে চিত্রকল্প, প্রতীক ইত্যাদি
নিয়ে আমি দেয়ালে নিয়ত মাথা খুঁড়লেও তার দেখা মেলা
ভার, তবে এ-ও জানি যদ্দিন আমার

হৃদয়ে জাগবে, রঙধনু বারবার
এবং আমার কাঁধে বসবে কোকিল, কবিতার
হরতাল প্রত্যাহার করা ছাড়া কোনো গত্যন্তর নেই আর।