কে যেন ডাকছে কাকে

বহুদূরে গলা ছেড়ে আঁধারের মর্মমূল ছিঁড়ে
কে যেন ডাকছে কাকে। সেই
ডাকে আনন্দের উদ্ভাসন,
উদ্বেগের শীতল কম্পন,
ক্রোধ, ভয়, নাকি সন্ন্যাসের ছোঁয়া
ছিল, চুল চিরে চিরে বিশ্লেষণ করেও বুঝিনি।

সেই ডাকে মায়াকাননের
নৃত্যুদৃশ্য ছিল?
ভরা গাঙে নৌকাডুবি ছিল?
ছিল কি বিবাদে বিয়ে-ভেঙে-যাওয়া কন্যার পিতার
অসহায় বিপন্নতা কিংবা
খনির ভেতরে ধসবন্দি শ্রমিকের
ভীষণ মরিয়া আর্তনাদ?

বহুদূরে গলা ছেড়ে আঁধারের মর্মমূল ছিঁড়ে
কে যেন ডাকছে কাকে। যে ডাকছে,
সেকি বেঁটে নাকি দীর্ঘকায়?
নারকেল কুঞ্জে, ফুটপাতে
বাবরি দুলিয়ে তার আসা-যাওয়া অথবা পাতলা
হয়ে-আসা চুল তার
দুরন্ত হাওয়ায় ওড়ে কিংবা সে লোকটা টেরি কাটে
ডান দিকে-জানিনা কিছুই

কখনো কখনো সেই ডাক
আমার ওপর দিয়ে বয়ে যায়, যেন দীর্ঘশ্বাস
কখনো বা সে ডাকের প্রতি
নত হয়ে মেঘাচ্ছন্ন একটি আকাশ।