খেলাঘরে

রাতদুপুরে একটি হরিণ হ্রদের ধারে আসে,
জ্যোৎস্না দিয়ে তৈরি পরী পা রেখেছে ঘাসে।
হাওয়ার দোলায় দুলে ওঠে কনকচাঁপার পাতা,
তাই-না দেখে ছড়ার ছন্দে হরিণ নাড়ে মাথা।

হ্রদের পানি খাচ্ছে চুমো পরীর শাদা পায়ে,
কে যেন ঐ আসছে দ্যাখো চ’ড়ে চাঁদের নায়ে।
চাঁদের নায়ে হাল ধরেছে ছোট্ট খোকন সোনা,
ফুলে-ওঠা পালটা বটে তারা দিয়ে বোনা।

পাতার আড়াল থেকে হঠাৎ কোকিল ওঠে ডেকে,
সুরের ধ্বনি পরীর মুখে আবীর দিল মেখে।
রাতদুপুরে কোথায় বাজে আদ্যিকালের ঘড়ি?
চমকে তাকায় এদিক ওদিক হরিণ এবং পরী।

মনে আমার রইল গাঁথা রাতদুপুরের ছবি,
ভোরের আলোয় মিলিয়ে যাবে হরিণ পরী সবই।
রাজামণি স্বপ্ন থেকে উঠবে জেগে হেসে,
একটু পরে খেলাঘরে সবাই জুটবে এসে।