খোকন যা যা করে

মাছের মতো তাকায় খোকন
পাখির মতো ওড়ে,
বাঁশির সুরে বলে কথা
ঘরে, গলির মোড়ে।

মেঘের পাড়ায় বেড়ায় ভেসে
পঙ্খিরাজের পিঠে,
কখনো ফের বসে থাকে
ক্ষীর নদীটার সিটে।

পদ্মপাতায় খায় সে খাবার
দিনে এবং রাতে;
জ্যোৎস্নারাতে এক্কাদোক্কা
খেলে পরীর সাথে।

শালিকটাকে কনে সাজায়
হবে মজার বিয়ে,
বুড়ো শেয়াল জলদি আসে
টোপর মাথায় দিয়ে।

সাত হরিণের আটাশ খুরে
জ্বলে হাজার হীরে,
খোকন সে-সব কুড়িয়ে ছড়ায়
জোনাকিদের ভিড়ে।

কত্ত চিঠি পাঠায় খোকন
হালকা মেঘের খামে,
রৌদ্র ছায়ায় ছড়া লেখে
বাংলাদেশের নামে।