কী সুদীর্ঘ অমাবস্যা ছিল

কী সুদীর্ঘ অমাবস্যা ছিল চতুর্দিকে,
বাদুড়ের ওড়াউড়ি, শেয়ালের কর্কশ চিৎকার
ছিল ভ্রষ্ট কালের জঠরে।
নেকড়ের হিংস্রতার মতো
ঝাঁঝালো বাতাস
খাবলে নিচ্ছিল নরমাংস ক্ষণে ক্ষণে,
কী এক অসুখ ভর করেছিল সবার ওপর-
কেউ কারো মুখ দেখে
ভরসা পেত না কিছুতেই, অনাস্থার অব্যর্থ বৃশ্চিক
চোখে মুখে বুকে সেঁটে ছিল সর্বক্ষণ।

তবুও ঘোড়েল কিছু লোক অন্ধকার
ছুঁড়ে ছুঁড়ে এক্কা দোক্কা খেলে
জমিয়েছে প্রভূত পসার নষ্টামিকে
পুঁজি করে, ওদের কুটিল চোখে ছিল
অফুরন্ত নোংরা ফেরেববাজি,
মুখের গহ্বরে লুফে লুফে
ধর্মের অসিদ্ধ ফাঁপা বুলি
ছড়িয়েছে তীব্র কূট আর্সেনিক মানব সমাজে।
এদের সগোত্র যারা তারা দেশে দেশে
সোৎসাহে নিষিদ্ধ করে গ্রন্থ আর পোড়ায় আক্রোশে
প্রসিদ্ধ শিল্পীর চিত্রমালা।
শত অনর্থের ধুম্রজালে নৈরাশ্যের গহ্বরেও
অনেকে আলোর জন্যে করে এবাদত,
ফসল ফলাতে চায় প্রেমে আর মননের ব্যাপক খরায়।
নান্দনিক ভাষা খুঁজে পায়। ইতিহাস
তাদের নিকট-
পাঠায় অজস্র প্রজাপতি; এই সব মানুষকে ঘিরে
রূপালি ঝর্ণার উচ্ছলতা,
দিগ্ধলয়ময় রঙধনুর স্ফূরণ,
অক্ষরবৃত্তের আভা, ইতিহাস প্রেরিত বর্ণিল
অগণিত প্রজাপতি, পাখির উড়াল।