কবি তুমি

কবি, তুমি ধুলায় ধুলায় ঘাসে
ঘাসে মিশে থাকো,
মেঘে মেঘে, নক্ষত্রেও।
সরোবরে, পাথরে, কাঁকরে
তোমার সত্তার চিহ্ন রয়ে যায়
ঈষৎ আবছা।
লোকাচার দুঃসহ ভেবেও
কবি, তুমি হ’য়ে যাও
কখনো কখনো খুব
সামাজিক। তীক্ষ্ণ কপটতা,
ভাঁড়ামি, শঠতা সহ্য করে
স্মিত মুখে। মূঢ় নর,
স্থূল নারী তোমাকে উপেক্ষা
করে দূরে সরে যায়,
কবি, তুমি সবই মেনে নাও
অনিবার্য প্রাপ্য ভেবে।

তুমি কি কখনো অপমানে
বিদ্ধ হয়ে প্রতিশোধ
পরায়ণ বনে যাও? কোনো
কোনো দিন বাঘনখ
বেরিয়ে পড়ে কি মিহি
অন্তরাল ভেদ ক’রে? আর
কখনো কি ভাবো যত্রতত্র হুট
ক’রে চলে-যাওয়া
সাঙ্গ ক’রে সকলের মুখের
উপর দরজাটা
বন্ধ রেখে অপমান বিরোধী
কবিতা লিখে যাবে?

২৪.৩.৯৪