কবিতার মৃত্যুশোক

আমিতো অজস্র কবিতার মৃত্যুশোক পুষে রাখি,
মৃত্যুশোককালীন আঁধারে নির্বিকার ফেরেস্তারা
দ্যাখেন আমার মদ্যপান। মদিরার স্বচ্ছ ধারা
আমার ভেতরে বয়ে গেলে পর নিজেকে একাকী,
ব্যথিত একাকী লাগে আরো, চুপচাপ বসে থাকি,
কখনো চড়িয়ে গলা এলেবেলে কথা বলি, যারা
আশপাশে থাকে, তারা নিজেরাও নয় বাক্যহারা;
আমার চোখের ভুল দ্যুতিতে কেউবা পড়ে ফাঁকি।

কবিতার মৃত্যুশোক ফিকে হলে নিভৃত টেবিলে
কাগজ কলম নিয়ে বসি। অকস্মাৎ চোখে স্মৃতি
ভেসে ওঠে, যেন শান্ত জলের উপরিভাগে সদ্য
মৃত মাছ। কখনো আমার অস্তিত্বের গূঢ় নীলে
খৃষ্টপূর্ব সভ্যতার মতো কিছু প্রবল প্রতীতি
নিয়ে জেগে উঠতে চায়, বুঝি ওরা অলৌকিক পদ্ম।