কক্ষণো ছাড়ব না

মানুষের হাটে হেঁটে যেতে যেতে
কবি বললেন, আমাকে বাৎলে দিন-
কবন্ধ এই কপট সমাজে
শিল্পের কাছে কার কতটুকু ঋণ?

কথামালা তার ঢেউয়ের মতোই
পাথুর দেয়ালে ভীষণ আছড়ে পড়ে।
বেলা-অবেলায় খঞ্জের মতো
মাথা নিচু করে কবি ফিরে যান ঘরে।

কিন্তু কোথায় এমন আঁধারে
নান্দনিক সে কবির বাড়ির পথ?
থিকথিকে পচা কাদা সবখানে,
ডুবে গেছে তার বিদ্যুৎপ্রভ রথ।

মেধা ও মনন গ্যাছে বনবাসে,
প্রকৃত মানুষ সবখানে আজ মৃত।
আদর্শ পচে আগাড়ে-ভাগাড়ে,
সে কটু গন্ধে শ্মশান-শেয়াল প্রীত।
সমাজবাদের পাট তুলে দিয়ে
কত বিপ্লবী ছড়ায় ব্যাপক বিষ।
ক্রান্তিলগ্নে বড় দোটানায়
খঞ্জনা নাচে, শ্যামা পাখি দেয় শিস।
এই নাচ আমি দেখব এবং
কুড়াব নীরবে শ্যামার সুরের কণা।
বর্ণমালায় রঙধনু মেখে
আঙ্গিক গড়া কক্ষণো ছাড়বো না।