কণ্ঠস্বর অন্ধকারে বটায় প্রেম

জ্বলজ্বলে, ঝলমলে এই শহরের অনেক
আলিশান দালানে
কত না আনন্দধ্বনি সাহেব, বিবিকে তন্ময়
করে রাখে, শৌখিন প্লেটের উচ্ছিষ্ট
খাবার ভেসে যায় নর্দমায়, কে তার
হিশেব রাখে ক্ষুধার্ত বনি আদম ছাড়া এখন?
‘জয়তু বিলাসিতা, জয়তু ধনসম্পদ’
স্লোগান দিতে-দিতে ঢের আয়েশি মোটরকার ছোটে মসৃণ।

কখনো ভাঙাচোরা পথে হেঁটে যেতে-যেতে দৃষ্টিতে
দুর্দশাগ্রস্ত মহল্লায় আমার
চোখে চোখ রেখে ওরা দারিদ্র্যের কথা বেজায়
তিক্ত স্বরে ঘোষণা করে। কোনো দ্বিধা অথবা
লজ্জা নেই ওদের। সেইসব কণ্ঠস্বরে কখনো
কৌতুক, কখনো-বা ঝগড়া-প্রসূত
অগ্নিকণা ঝলসে ওঠে কোনো-কোনো কুটিরে,
কখনো-বা উলঙ্গ, বেয়াড়া উঠোনে।

বস্তির চেহারা কেবল নয়তো এমন। এখানে,
হ্যাঁ, এখানেও সূর্যোদয়ের আভা ছড়ায়
আনন্দধারা। সুনসান রাত্তিরে
যুবতীর স্তনের মতো চাঁদ জেগে থাকে আকাশে,
কখনো, কখনো দারিদ্র্যঘেরা কুটিরে
মধ্যরাতে মোটা মিহি কণ্ঠস্বর আন্ধারে প্রেম বটায়।

১০-১২-২০০৩