করোটির অন্তর্গত

করোটির অন্তর্গত তমসায় অকস্মাৎ চাঁদ ওষ্ঠ থেকে
ঝরায় ক ফোঁটা বিষ, অন্সরার নিবিড় কাঁচুলি
ছুঁড়ে ফেলে শহরের বস্তির তরুণী।
নোংরা বিছানায় বিকলাঙ্গ একজন বেকারত্ব
পোহায়, হাঁড়িতে ফুটবে না পানি, তণ্ডুলের ঘ্রাণে
উঠবে না জেগে কেউ; নক্ষত্র ফুটবে।

অন্সরা পারে না দিতে খাদ্য টাদ্য, পিপাসার পানি,
ভাঙা ঘরে জ্যোৎস্নার জোয়ার
আনার সামর্থ্য রাখে, সপ্তর্ষিমণ্ডল
হাতের চেটোয় নিয়ে কবিকে স্তম্ভিত
ক’রে দিতে পারে, মেঘ থেকে এনে দিতে পারে কিছু
পারিজাত; যুপকাঠে জল্লাদের মাথা, জনতার কোলাহল।

কবির অমর্ত্য কণ্ঠ বেয়ে নামে বিষ,
তবু তিনি ছন্দমিল বিষয়ে প্রখর
কৌতূহলী, বাড়ি তার ভাসমান বজরা, ঘুমঘোরে
আস্তে সুস্থের কাটেন স্বপ্নাদ্য পাউরুটি;
রুটির ভেতরে মণিমুক্তো, কাব্যকণা, কবি নিজে
হাবুডুবু অলৌকিক স্যুপের বাটিতে।

২৫।৩।৯১