কৃতাঞ্জলি

হেঁটে যেতে যেতে মধ্যপথে অকস্মাৎ
বলেছিলে, ‘ওদিকে যেও না তুমি কস্মিনকালেও,
সেদিকে অনেক
খানাখন্দ, চোরাপথ আছে’ আর তখুনি আমার
চোখ থেকে ঝরে গেলো ফুলের পাপড়ি সমুদয়
তোমার উদ্দেশে।

‘সেখানে সন্ধ্যায় তুমি যেও না কখনো
সেখানে বাঘের ভয় আছে’, ব’লে তুমি
সতর্ক করেছো
আমাকে সূর্যাস্ত; আমি চোখে বেলাশেষের আবীর
মেখে নিয়ে, বাজিয়ে সোনালি ঘণ্টা তোমার উদ্দেশে
ফিরে গেছি লোকালয়ে মূলত আশ্বস্ত পর্যটক।

অথচ আমার পাশে সেরে নেয় মধ্যাহ্ন ভোজন মাঝে মাঝে
যে-জন, মেলায় গলা আমার গলায়, শিস দিয়ে
বাজায় পুরানো সুর, সে-জনই শীতল হন্তারক,
এ সরল সত্য আমি তোমার চোখের
ভাষা এতবার পাঠ করেও হে বন্ধু, হে শুভার্থী সহচর,
ঘুণাক্ষরে জানতে পারি নি।