লজ্জানত

অন্তর্গত আলোড়নে বারংবার খুব উঁচু গ্রামে
বেজেছে আমার কণ্ঠস্বর।
কখনো নির্জনে আর কখনো সভায়
ফাটিয়েছি গলা; উচ্ছ্বসিত
শব্দদ্বীপ থেকে শব্দ দ্বীপান্তরে ভাসিয়েছি ভেলা
বদর বদর ব’লে ভাটি ও উজানে।
আমার নিজস্ব হুলস্থুল, চেঁচামেচি
গড়েছে জবার মতো সুকান্ত মোরগঝুঁটি আমার ভেতরে।
পড়ে না পা আমার মাটিতে। ভেসে বেড়াই হাওয়ায়।
নিচু স্বরে কথা বলে যারা
তাদের করেছি উপহাস, বলেছি, ‘তফাৎ যাও
ন্যাকার সাঙাৎ’

একদিন ঔদ্ধত্যের পতাকা উড়িয়ে
গেলাম বিকেলবেলা একজন প্রবীণের কাছে, যিনি বড়
নিশ্চুপ ছিলেন বসে একাকী মাদুরে।
কী বিপুল স্তব্ধতার
মন্দাকিনী করেছেন ধারণ সত্তায়,
অথচ এমন
নিবিড় বাঙময় আমি কাউকে দেখিনি কোনোকালে।
সব প্রগলভতা সদা-জাগা
ঔদাস্যের আড়ালে লুকিয়ে
চুপিসারে লজ্জানত ফিরে আসি একা।