মেঘ না চাইতে

মেঘ না চাইতে জল পেয়ে
যাওয়ার মতো
আমার হাত তোমার হাতে।
এই প্রথমবারের মতো তোমার
স্পর্শ পেলাম।
কী-যে হলো আমার ভেতর,
কে ব’লে দেবে আমাকে?

আকাশে গোল চাঁদ খুব
চকচক করছিল
শাহী মুদ্রার মতো, অথচ
আমি দেখছিলাম তোমাকে
চাঁদের রূপ উপেক্ষা ক’রে।
তোমার শরীরে
জড়ানো ছিল এক টুকরো
নীল আকাশ।

আমার হাত তোমার
করতলের কানে কানে
কিছু একটা ভিন্ন মাত্রায়
বলার চেষ্টা করছিল
জ্যেৎস্নার ভাষা ধার ক’রে।
তোমার সরু, সুন্দর
আঙুলগুলো কি উদ্ধার করতে
পেরেছিল সেই সান্ধ্যভাষা?
তোমার হাতের স্পর্শ আমার
সমগ্র সত্তায়
ফুটিয়ে দিলো রঙ বেরঙের
ফুল, অনুভব করলাম
আমার হৃদয়ে অজস্র নক্ষত্রের
নাচ, আমার শরীর
নিমেষে হয়ে ওঠে স্বর্গীয়
পাখির গান।

তোমার সোনালী হাত নিঝুম
মাছ
রূপালি সরোবরে, পর মুহূর্তে
গুণীর তান।
তোমার সঙ্গীতময় হাত
আমার শিরায় শিরায়
কবিতা তৈরি করতে থাকে
আমাকে বিহব্বলতায় ডুবিয়ে।

আমি তোমার শরীরের সুঘ্রাণে
যখন বুঁদ
যখন আমি তাকিয়ে আছি
জ্যোৎস্নার চুম্বনে বিহ্বল
গাছের দিকে,
সেই গাছের মধ্যে খেলে যায়
এক প্রশ্নের বিদ্যুৎ।

হাওয়ার ঝলক সেই প্রশ্ন
পৌঁছে দেয়
আমার শ্রুতিতে-‘কবি, এত
অল্পে তুষ্ট তুমি?’

২৫.৫.৯৪