মোহিনী জলাশয়ে

নিত্য কে আমাকে করছে চুরমার?
খেয়াল খুশিমতো গড়ছে পুনরায়।
কখনও ছন্দের দোলায় মাতায় সে,
ছন্দছুট রাখে কখনও দিনরাত।

সাঁতার জানা নেই, নেমেছি ক্ষ্যাপা জলে;
জলে ঝাপ্টায় আহত চোখ মুখ।
তবুও ভেসে থাকি ঘূর্ণি জলে আর
আখেরে প্রাণ নিয়ে ডাঙায় ফিরে আসি।

আমাকে যেতে হবে গহন বনে একা,
যেখানে শ্বাপদেরা রয়েছে ওত পেতে।
পেরিয়ে গেলে বন মিলবে সরোবর,
সেখানে ডুব দিলে পাবই অমরতা।
অথচ সারা পথে পাশব হুঙ্কার,
আমার চার পাশে কেবল পাতা ফাঁদ।
লক্ষ্যে পৌঁছুতে না পারি যাতে, তাই
হিংস্র পশুদের রয়েছে আনাগোনা।

আমার ছিল সাধ কঠোর সাধনায়
কাব্যে মুক্তির আনব রঙধনু।
কিন্তু বারবার সাধ্যে ধরে ঘুণ,
ভাবে ও আঙ্গিকে ঘটে বিপর্যয়।
তবুও সরোবরে প্রায়শ ডুব দিই,
মুক্তো খুঁজে নিতে গহনে হাতড়াই।
শূন্য হাতে ফিরে কৃষ্ণ সন্ধ্যায়
আবার চেয়ে থাকি মোহিনী জলাশয়ে।