মনোজ মৌচাক থেকে

আজ রাতে ঘুম আর হবে না
আমার। করোটির
ভেতর কীসের গুঞ্জরণ;
বিছানায়
নিজের শরীর নেই।
এককোণে রয়েছি দাঁড়িয়ে,
হেঁটমাথা,
একাকী, দুর্জেয় অপরাধীর
ধরনে। বেড়ালের
থাবার আঘাতে আর নিশাচর
পেঁচার চিৎকারে
ঘড়ি কাঁপে নিরন্তর, নিশীথ
গোঙায়।

কিছুক্ষণ এভাবেই কাটে,
ক্রমাগত রাতের নিশ্বাস লাগে
সত্তায় আমার, ঝর্না কলম
এবং খাতাহীন
অক্ষরের খেলা নিয়ে বসি
নিভিয়ে ঘরের বাতি।
শব্দগুলো নর্তকীর মতো,
যেমন রয়েছে মাতিসের
ক্যানভাসে,
এ ওর শরীরে ঝুঁকে থাকে
অন্তহীন বেদনার বৃত্তে।

অক্ষরেরা উঁকিঝুঁকি দিতে
থাকে, আমি
লালবাতি দেখালেও ওরা
মানে না সঙ্কেত; অপরূপ
কোলাহল
করে মগজের কোষে কোষে,
আজ ঘুমোতে দেবে না
আমাকে, করোটি যেন বিয়ে
বাড়ি, পূর্ণ চাঁদ মাতালের
চোখ;
মনোজ মৌচাক থেকে নির্ঘুম
ছড়াতে থাকি শব্দের বিভূতি।

১৪.৫.৯৪