মনোজ অঞ্জলিতে

কবিতা লেখার আগে আমার ভেতরে যে কী তোলপাড়
শুরু হয়, লেগে যায় কিছু শব্দের কী তুমুল হুড়োহুড়ি।
ও ওকে ঠেলে এগোতে চায়, একে অন্যের পা মাড়িয়ে কনুইয়ের
গুঁতো দিয়ে দিব্যি নিজের জায়গা করে নিতে ব্যগ্র। কারও
কারও মাথা বেশ ঠাণ্ডা, দূরে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করে কিছুক্ষণ,
ধীর স্থির সুদূরপ্রসারী দৃষ্টি। অন্যেরা অবসন্ন হয়ে পড়লে
একটু একটু করে ফাঁকা পথে এগিয়ে যায় ওরা প্রায় কোনওরকম
ঘেমো চেষ্টা ছাড়াই প্রথম সারিতে জায়গা পেয়ে যায়।
ওদের চেহারায় থাকে না ক্লান্তির ছাপ, গায়ে তন্ন তন্ন করে
তালাশ করলেও পাবে না কোনও আঁচড়ের চিহ্ন।
কবিতার ওরা, মনে হতে পারে অবলীলাক্রমে মিশে
থাকে, যেমন গাছের পাতায় সজীব সবুজ, লাল গোলাপে
সোরভ, সঙ্গীতে সুরধারা। সেসব শব্দ কি অন্তরালের
ছায়ায় বসত যার, সেই সরস্বতী অশেষ কৃপায় তার
অধর থেকে ঝরিয়ে দেন আমার নিরন্তর প্রতীক্ষা-কাতর
অঞ্জলিতে? সেই অধর থেকে ঝরা প্রতিটি শব্দই অব্যর্থ, নতুন।