নিজেকে হিতোপদেশ

আজাড়া কথায় কাজ কি তোমার? এক্ষুণি সরে পড়ো।
নয়তো সবাই চেঁচাবে বড্ড, সভাই পণ্ড হবে।
বরং তুমিও ইক্‌চি বিক্‌চি কথা দিয়ে করো মাৎ,
মগজে সবার আহোশা ছাড়াও, বাহবা কুড়াও বেশ।

আমের বাগানে খেজুরের চাষ, কার কী বা এসে যায়।
সকাল-সন্ধ্যে অতীতের ভূত মাথায় দিচ্ছে চাটি?
জীর্ণ যুগের আস্তাবলেই সহিস সেজেছে যারা
তাদের সঙ্গে কানাঘুষো করো, গোপনে পাকাও ঘোঁট।

নিত্য নতুন থিসিসের কালি আকাশের মুখ ঢাকে,
গ্রাম-শহরের জড়োসড়ো লোক সামনে পায় না পথ।
পেছনে হাঁটার হুকুম রটায় বারোয়ারী মেগাফোন,
ভুয়ো বুলবুলি খেয়ে যায় ধান-কেউবা সাফাই গায়।

ভাবছো বৃথাই, কী সে বোকা তুমি, বেখাপ্পা এক লোক।
টিকে থাকবার শিখে নাও চাল, যত্নে ভিজাও চিঁড়ে
নইলে কালের জোয়ার ভাটায় হালে পাবে নাকো পানি,
মুঠোয় শুধুই তাল তাল কাদা উঠবে হরেক দানে।

স্বদেশের মাটি মহাজনদের চক্ষে লাগে না ভালো,
করবে কী তুমি বিদেশী বালির শোভায় জুড়োলে চোখ?
ভালো-মন্দের পুরোনো ফ্যাঁকড়া আগাগোড়া বাদ দাও,
বেলা ফুরোবার আগে মেনে নাও ফড়েদের ইক্‌তারি।