নিজেকে ভেঙে ভেঙে

নিজেকে ভেঙে ভেঙে ভেঙে
এই তো আমি পড়ি-মরি ক’রে এখানে
এই অনেকগুলো ভাঙা পাথরের
ডেরায় দাঁড়ালাম।

আমার কোথাও কোনো
সুম্পূর্ণতা নেই; স্বেচ্ছাচারী বাটালি আর
হাতুড়ির ঘায়ে
আমার মুখ আর
মুখ নেই। চোখ, কান, নাক, ভাঁজ-পড়া
ললাট, গ্রীবা- সবকিছুই ভাঙাচোরা,
বল্মীকাক্রান্ত কাদার
মূর্তির মতো।
নিজেকে ভেঙে ভেঙে ভেঙে
সম্পূর্ণ ভাঙতে না পারার খেদ
আমাকে তাড়া করে সারাক্ষণ আর বিদ্যুচ্চমকে দীপ্ত
আমি গরল পান করতে করতে
নির্মাণের কথা ভাবি, অথচ
অদূরে মরা জ্যোৎস্নায় শেয়ালের পায়ে
ঝরা পাতার খস্‌ খস্‌ আর
চাঁদের দিকে পিঠ দিয়ে ঘাড় ফোলায় প্যাঁচা।

৭/৭/১৯৯৩