নিশ্চুপ শাদায়

সাধ জাগে, এ দেয়ালটার আড়ালে কী আছে, দেখি।
কেউ কি এলিয়ে চুল বসে আছে একা-নাকি কেউ
গুমরে গুমরে কাঁদে বাদামি দু’হাতে মুখ ঢেকে?
কেউ কি সরোদে সুর তুলে নিজেকে আনন্দ ধ্বনি
করে কিংবা লেখার টেবিলে ঝুঁকে মন ছেড়ে দেয়
কত শব্দ-হরিণের গলায় বুলিয়ে দিতে হাত।
ভাবি, হয়তোবা নারী ও পুরুষ তুচ্ছ-সুমধুর
কথোপকথনে মেতে আছে, কিছু মান-অভিমান,
অকস্মাৎ অস্তিত্বের আঁশ খাড়া করে ফুঁসে ওঠা,
তা-ও আছে, আছে চুম্বন এবং আলিঙ্গন।
বুঝি শিশু হামাগুড়ি দিয়ে সুপ্ত বেড়ালের দিকে
ক্রমশ এগোয় নাকি কেউ কারো গলা কেটে ফেলে
নির্বিকার চিত্তে ধুয়ে নেয় হাত সফেদ বেসিনে?
মনে হয়, অন্তরালে কারা যেন দেশ উজাড়ের
নক্শা আঁকে চুপিসারে, অবরুদ্ধ পালাবার পথ;
বোঝা দায়, নজর আটকে থাকে নিশ্চুপ শাদায়।