নিয়তি আমার প্রতিপক্ষ

আজ এ-কথা তো বলতেই পারি-শোনো,
নিয়তি-টিয়তি আমি মানি না এখনো।
মানি না বলেই পঞ্চাশোর্ধে পথ হাঁটি কী উজ্জ্বল
আশার গোলাপ নিয়ে বুকের ভেতর আর দুরন্ত ঈগল
দেখি আশমানে।
অতিদূর নীলিমার গানে
মাতাল সে পাখি আয় আয়
বলে ডানা নেড়ে-নেড়ে আমাকে শেখায়
অভীপ্সার মানে। নিয়তির তূণ থেকে
যতই আসুক ছুটে বান, যাক ঢেকে
চতুর্দিক,
দেখে নিও ঠিক
আমি ভয় পাবো না কখনো। অন্ধকার
ব্যাপক তুলতে পারে ফণা, পা পিছলে যেতে পারে বারবার,
হঠাৎ কখনো ধস্ নেমে
এলে আসতেও পারে, কখনো হাঁটতে পারি থেমে থেমে
খোঁড়ার মতন, তবু পাহাড় ডিঙিয়ে যাবো সুখে
তুড়ি মেরে নিয়তির মুখে।

আড়ালে কে যেন হেসে ওঠে। আমাকে দেখায় শক্ত কব্জি তার,
তুলে ধরে অস্ত্রের সম্ভার।
মতিচ্ছন্ন ঝোঁকে
তাকেই কি বলে লোকে
নিয়তি? প্রবল প্রতিপক্ষ সুনিশ্চিত।
কিন্তু দ্যাখো, দর্জির ধরনে দ্যাখো, সাহসের ভিত
আমার অটুট আজো; তাই
কস্মিনকালেও জানি নিয়তির সঙ্গে বন্ধ হবে না লড়াই।
বারংবার হেরে গিয়ে নিয়তি আবার অন্তরালে
সড়কি ও ঢালে
সুসজ্জিত হয়ে ফের লড়াইয়ের নতুন কৌশল কিংবা কোনো ছল
রাতারাতি তৈরি করে নেবে কিনা,
আমি তা জানি না।