ও বাংলার পাখি

ও বাংলার পাখি, শ্যামা পাখি, রামপ্রসাদের গান
হয়ে তুমি এমন বিহানে
এখানে কী করে এলে? এই জানালায়
বাংলার সবুজ ঘ্রাণ ছড়িয়ে রয়েছে নিরিবিলি
ঝরিয়ে সুস্নিগ্ধ সুর। কে তোমাকে পাঠালো
আমার একান্ত কাছে হু হু পরবাসে? বলবে না
তুমি সুনিশ্চয় মাথা খুঁড়ে মরলেও
কঠিন দেয়ালে, তবু জানি ও বাংলার পাখি, ওগো
শ্যামা পাখি, আমার অন্তরে জানি, যার
ছলছল দু’টি চোখ তোমাকে করেছে বাধ্য আজ
দূর দূরান্তের নানা মেঘে ছুঁয়ে ছুঁয়ে
নিউইয়র্কের এই কংক্রীটের জঙ্গলে গোপনে
এড়িয়ে সকল ফাঁদ হে রামপ্রসাদী সুর, হে অমল স্মৃতি

ও বাংলার পাখি, শ্যামা পাখি, তুমি বোলো গিয়ে তাকে
এই পরবাসে
আমার বিরস দিন যায়- যেন আমি
নিষ্ঠুর মরুর বুক পাড়ি দিয়ে চলেছি, কোথাও
মরুদ্যান নেই, ফণিমনসার ঘায়ে চোখ ফেটে রক্ত ঝরে;
বুঝি বা হারাবো দৃষ্টি অচিরেই! শ্যামা পাখি, বোলো তাকে
তার বিচ্ছেদের চৈত্রে আমি পুড়ে যাচ্ছি, এ অনল
কী করে লুকাবো আমি? কীভাবে নেভাবো? কোথায় সে জলধারা?
ও বাংলার পাখি, শ্যামা পাখি, কাছে এসো, খুব কাছে
তোমার কোমল বুকে মুখ রেখে খানিক জুড়াই অন্তর্জ্বালা।

১৮/৮/৯৫