অমলের মতো

অমলের মতো জানালার ওপারের দৃশ্যাবলি
অক্লেশে মুখস্থ রেখে আজও চাই আমার ঘুমিয়ে
পড়ার আগেই সুধা ফুল নিয়ে আসুক এখানে,
স্বপ্নস্থিত প্রচেষ্টায়। সে আসুক। আমার একান্ত
স্বপ্ন আর আকাঙ্ক্ষার সমানবয়সী সুধা আর
আমার দুঃখের সখী, সুখের নির্ভুল সহচরী।

যে কোন উদ্যানে সুধা কুড়াতে গিয়েছে ফুল? দাও,
তোমরা আমাকে বলে দাও। আজকাল, যতদূর
জানি, বাগানের কাছে গেলে বিষপিঁপড়ের কামড়
সবাই শরীরে নিয়ে আসে। প্রতীক্ষায় অপলক
একটি পাখির দিকে তাকাতে তাকাতে আমি হই
রঙিন মাংসের পাখি আর ভালোবাসতে বাসতে
ভালোবাসা হয়ে যাই। মাদকদ্রব্যের আস্বাদন
ব্যতিরেকে অগোচরে সাইকেডেলিক চিত্ররাজি
ভেসে ওঠে কী প্রবল বর্ণময়-নিজেরই মগজে
ভ্রাম্যমাণ, মিশরীয় মূর্তির সান্নিধ্যে পৌঁছে যাই।

অতিশয় দ্রুত নব ঘোরাতে ঘোরাতে আর্ত বলি,
ট্রানজিস্টার হে দাও ডেকে দাও সুধাকে আমার।
মৃত্যু, কোনো পত্রহীন লেফাফা যেনবা, প’ড়ে আছে
অদূরে আমার গৃহকোণে; সুযোগ পেলেই ক্ষিপ্র
অন্তর্গত ছটফটে পাখিকে আমার পুরে উড়ে
যাবে হিম শূন্যতায়। ট্রানজিস্টার হে হৃদয়ের
মুঞ্জরিত স্থানীয় সংবাদ ফুলে ফুলে মেঘে মেঘে
ঈষৎ রটিয়ে দাও, যেন সুধা দ্রুত চলে আসে
এ কোন প্লাবন আসে ব্যেপে? ভাসে জগত-সংসার,
রাজা তো অনুপস্থিত, সুধা সে-ও অস্তরাগে লীন।