অন্ধকার কাঁটা হয়ে বিঁধে

ভাবতেই পারিনি আমার মুখোমুখি বসবেন একজন
প্রবীণ সাধক আর বলবেন গাঢ়
কণ্ঠস্বরে কিছু গূঢ় অনুপম কথা। বিষণ্ণতা
ছিল তাঁর বিদায়ী বক্তব্যে যার অর্থ বস্তুত পাইনি খুঁজে

বুঝি না আমাকে কেন অসংখ্য বাদুড় বার বার
চারদিকে থেকে
হামলা করতে আসে। ওদের ডানার
ঝাপ্টায় দু’চোখ থেকে রক্ত ঝরে যখন তখন।

কিছুতেই পারি না তাড়াতে হিংস্র এই প্রাণীদের; বহু দূরে
ছুটে যেতে চাই,
অথচ এমন ভারী হয়ে যায় পদযুগ,
পারি না নড়তে এক চুলও কিছুতেই। অন্ধকার কাঁটা হয়ে
ভীষণ বিঁধতে থাকে শরীরে আমার। অসহায়,
দিশহারা এই আমি নিজেকেই কামড়াতে থাকি।

যে মোহন বাগানের স্বপ্ন দেখে ঘর ছেড়ে পথে
বেরিয়ে পড়েছিলাম, তার
কোনও চিহ্ন নেই কোনও দিকে, শুধু ধুধু
শূন্যতা বিলাপ করে অবিরত শব্দহীনতায়।
এমন বিরান স্থান ছেড়ে অন্য কোনখানে যেতে
চাইলেও শুধু ঘুরে ফিরে
একই স্থানে থেকে যেতে হবে শাস্তিপ্রাপ্ত,
অসহায় বন্দীর মতোই, জানবো না কী আমার অপরাধ!

৬-১২-২০০৩