অরূপ রতন

যখন নেপথ্যে ডুব দিয়ে অতলে কাটাতে চাই
নিজস্ব সময় কিছু, জাল ফেলে, আমার চুলের মুঠি ধরে
ওরা টেনে তুলে আনে কর্কশ জমিনে।
আমার দু’ চোখ ঝাঁ ঝাঁ রোদে ভীষণ ঝলসে যায়;
চিত্তপুর দহনের আড়ালে থাকার
জন্যে সকাতর যাঞ্ঝা করে সবুজের দীর্ঘস্থায়ী আলিঙ্গন।

চারপাশে কী তুমুল চেল্লাচেল্লি, নিরন্তর কাদার অশ্লীল
খেল; দেখি, বেদাগ সফেদ পাঞ্জাবিতে বিষ্ঠা আর
কালি মেখে কত লোক বিকট উল্লাসে ফেটে পড়ে,
চায়ের টেবিল তোফা তপ্ত করে তোলে। তপোবনে
বসবাসকারী ঋষি নই,
নই কোনও বিয়াবান বনচারী ধ্যানী দরবেশ,
তবে নরাধম কোনও পতিত পাষণ্ডও নই,
আমি শুধু এক শব্দ শিকারি প্রেমিক।

এ শহরে আছে একজন, কোমল সোনালি যার
হাত, যে আমার শরীরের ক্লেদ ধুয়ে মুছে ফেলে
প্রেমজলে বলে, ‘কবি, যত ইচ্ছে তোমার গভীরে
দাও ডুব, নিভৃত পাতাল থেকে খুঁজে আনো অরূপ রতন।