অস্তর্গত রোদ

কোনও কোনও দুপুররোদের দিকে তাকিয়ে অনেক
দিনের পুরোনো কথা মনে পড়ে যায়। রোদের ভেতর থেকে
গূঢ় রোদ জন্ম নিয়ে আমার অন্তরে
খেলা করে খুব নিরিবিলি। সেই রৌদ্রসুরা ঢক
ঢক পান করে বুঁদ হয়ে থাকি কিছুক্ষণ, দেখি কারা যেন
আমার ভেতরে হেঁটে যায়, ফিরে আসে ভিন্ন চেহারায় আর
হঠাৎ আমার পিঠা চাপড়ে হুল্লোড়ে মেতে ওঠে। কেউ কেউ
জুয়ো খেলা শুরু করে, দূরে বসে নিঃসঙ্গ, বিবাগী
একজন নীরবে কবিতা লেখে রোদের অক্ষরে। জুয়াড়িরা
তাকে ঘিরে হৈ চৈ করে কবিতার পাতাগুলি ব্যাঙ্কনোট ভেবে
পুলকিত, ভ্রম দূর হলে কুটি কুটি
ছিঁড়ে ফেলে হাওয়ায় ওড়ায়। অনন্তর জুয়াড়িরা
কবির ভেতরকার রোদ কেড়ে নেয় ক্রোধে। চুপচাপ
প্রতিবাদহীন কবি, জুয়াড়িরা গলে হাওয়ায় মিলায়।

৭.৪.৯৯