প্রবেশাধিকার নেই

প্রবেশাধিকার নেই। এখন আমার আনন্দের
দুঃখের ক্রোধের
ক্ষোভের প্রেমের
প্রবেশাধিকার নেই মনুষ্যসমাজে।
আগে আমি আনন্দিত হলে
একটি কবিতা লিখে খাতার পাতায়
সেই আনন্দের ছায়াটিকে রাখতাম ধরে।
আমার শয্যার পাশে দুঃখ কোনো দিন
হাঁটু মুড়ে বসলে নিঃশব্দে
আমি তার ছবি শব্দে ছন্দে আঁকতাম খুব
বিষাদে আচ্ছন্ন হয়ে। ক্রোধান্বিত হলে,
ক্রোধের গরগরে চিহ্নগুলি থাকত ছড়িয়ে
দুর্বাসার মতো জেদী পয়ারের প্রতিটি সারিতে।
ভালোবাসা পল্লবিত বৃক্ষের মতন
কেমন দাঁড়াত ঋজু শব্দের অরণ্যে।

আমার আনন্দ, দুঃখ, ক্রোধ, ক্ষোভ, ভালোবাসা
নানান কবিতা হয়ে মানুষের কাছে
পৌঁছে যেত যথারীতি, এখন আমার আনন্দের
দুঃখের ক্রোধের
ক্ষোভের প্রেমের
প্রবেশাধিকার নেই মনুষ্যসমাজে।

এখন আমার ক্রোধ দুঃখ
আনন্দ অথবা ভালোবাসা কবিতার ছদ্মবেশে
কেবলি লুকায়
দেরাজের একান্ত কোটরে
নিভৃত আলমারি কিংবা সুটকেসে। যেন
ওরা পার্টিকর্মী,
গোয়েন্দা এবং পুলিশের
চোখে ধুলো দিয়ে
আড়ালে থাকতে চায় ধরপাকড়ের মরসুমে।