প্রত্যাবর্তন

পুনরায় রৌদ্রহীন রৌদ্রে আমি, পথহীন পথে।

এই রৌদ্র, এই পথ কতকাল আমাকে অত্যন্ত
করেছে ব্যাকুল। বাইরের ক্ষীণতম শব্দ কিংবা
একটি দৃশ্যের জন্যে পিপাসার্ত কাটিয়েছি অনেক বছর।
অনেক বছর আমি শ্বাসরুদ্ধ হয়ে কাটিয়েছি
হিরন্ময় ভেন্টিলেটারের
স্বপ্ন দেখে দেখে। কতকাল কৃষ্ণচূড়া, তৃষিত বুকের মধ্যে
দেয়নি ছড়িয়ে অগ্নি-গুঁড়া।

আমার মাথায় সাদা চুল ওড়ে হাওয়ায়, পুরানো
চটের থলের মতো শিথিল শরীর,
দাঁত নড়বড়ে,
দৃষ্টি নিবু নিবু আর জীবনের প্রতিটি মোর্চায়
যেন সান্ধ্য আইন হয়েছে জারি। রাস্তার কিনারে
বিশীর্ণ চাঁদের মতো নুয়ে-পড়া দর্জিটা এখনও
কী ব্যগ্র পরায় সুচে সুতো।

আমার যে-ঘর নেই
সে-ঘর আমাকে ডাকে বুক হাট করে,
আমার যে-শয্যা নেই
সে-শয্যা আমাকে ডাকে বিশ্রামের স্বরে,
আমার যে-প্রিয়া নেই
ডাকে সে বুকের পদ্ম উন্মোচন করে,
আমার যে পুত্র-কন্যা নেই
ডাকে তারা কচি চারাদের মতো বাহু মেলে দিয়ে।
পুনরায় রৌদ্রহীন রৌদ্রে আমি, পথহীন পথে।