প্রৌঢ় অধ্যাপকের মতে

বাছুরের মতো সব নাবালক কবিরা এখন
ঢুঁমরে বেড়ায় যত্রতত্র আর কচি তীক্ষ্ণ খুরে
লন্ডভন্ড করে দেখি কাব্যের প্রশান্ত তপোবন।
গুঁড়িয়ে পদ্যের স্তূপ ক’বিঘা নিষ্ফল জমি জুড়ে
বানায় বিচিত্র ঢিপি। উপরন্তু বেয়াড়া পাঠক
তাদেরই লেজুড় হয়ে দিব্যি ঘোরে, যাক রসাতলে
কাব্যলোক; পুরোদমে যাচ্ছে তাই চলুক নাটক
ভীষণ পতন থেকে কবিতাকে উদ্ধারের ছলে।

এই সব বাছুরের দল জানি গোটাবে পাততাড়ি
দু’দিন ইয়ার্কি মেরে। আপাতত করে মণ্ডুপাত
রীতির নীতির আর সমস্বরে চেঁচিয়ে হঠাৎ
কাঁপায় কাচের ঘর, ভেঙে পড়ে থাম সারি সারি।
হা কপাল, কালক্রমে বাছুরেরা হবে ধেড়ে ষাঁড়,
কল্কে দেবে বহুজন, হয়তো খেতাব পাবে “স্যার”।