রোমকূপ কেঁদে ওঠে

হৃদয়ে আমার তুমিই গড়েছ
নয়া আঙ্গিকে
স্বপ্নের টেরাকোটা;
তৃষ্ণাকাতর জীর্ণ শাখায়
প্রহরে প্রহরে
ঝরে অমৃতের ফোঁটা।

আমার সময় খুব বেশি নেই,
এই পর্যায়ে
সব কিছুতেই তাড়া।
বাকি পথ আমি কীরকম ভাবে
পাড়ি দেব বলো
সুজাতা তোমাকে ছাড়া?

মহাজাগতিক তন্তুজালের
রহস্য কত
এখনও রয়েছে ঢাকা।
তারও চেয়ে বেশি রহস্যময়
তোমার গহন
সুনিবিড় চেয়ে-থাকা।
তুমি যাকে ভালোবাসতে একদা
তার ছায়া কেন
আমাদের মাঝে পড়ে?
সেই ছায়াটির মৃদু কম্পনে
আমার নতুন
স্বপ্নেও ঘুণ ধরে।

এই অবেলায় হৃদয়ে আমার
পড়েছে তোমার
ফুল্ল পদচ্ছাপ।
তোমার হাতের স্পর্শে এবং
উষ্ণ চুমোয়
ভুলেছি মনস্তাপ।

নিসর্গে আমি তোমাকেই দেখি,
তোমাতে প্রকৃতি
পেয়ে যায় অবয়ব।
তোমার শরীরে আজো জ্বলে ওঠে
যখন তখন
বর্ণিল উৎসব।

পেয়েছি তোমাকে, ভাবি কৃপণের
সঞ্চয়ী টানে,
পাখি হয়ে নাচে মন।
কিন্তু তবুও না পাওয়ার ধু-ধু
আঁধিঝড় কেন
প্রাণে তুলে আলোড়ন?
শারদ দুপুরে, হেমন্ত-রাতে
আমার প্রতিটি
রোমকূপ কেঁদে ওঠে।
অন্ধ কাঙাল পথে চেয়ে থাকি;
ব্যর্থ ওষ্ঠে
বিষাক্ত ফুল ফোটে।