শাদা-লাঠি

একটি বছর ধরে শাদা লাঠি হাতে নিয়ে সর্বক্ষণ আমি
শহরে ভ্রমণকারী, দেখেও অনেক কিছু না দেখার ভান
করি; ম্লান গোধূলিতে তুমি
সে কোন্‌ হ্রদের তীরে যাও চলে নিতম্ব দুলিয়ে
আমার সম্মুখ দিয়ে, স্মিত মুখে কী সহজে, হায়,
ফোটাও বিচিত্র ফুল বেগানা বাগানে।
নিমিষে আমাকে ছুঁড়ে দাও বিস্মৃতির-ধুধু চরে।
ভাবো, আমি কিছুই দেখিনা। যাও তুমি
ঈর্ষার রঙের মতো মোটর হাঁকিয়ে
তাচ্ছিল্যের হাসি হেসে, এলোমেলো অস্তিত্বের আমার
ধুলো লাগে, অসহায় চেয়ে থাকি দুটি চোখ মেলে,
যদিও আমার হাতে কম্পমান কংকালের মতো শাদা লাঠি।

খুব রাত করে
যখন ঘুমোতে যাও বিছানায় কতিপয় বেয়াড়া বেড়াল।
চেটে পুটে খায়
আমার অস্থির মজ্জা, ফোঁস করে ওঠে
নানান বর্ণের সাপ। ঈগল-সাপের
কী হিংস্র লড়াই বাধে হৃদয়ে আমার। শাদা লাঠি
কেড়ে নিয়ে লোহিত পুরুষ
বলে আর্ত স্বরে-
ছেড়ে দাও, ছেড়ে দাও তাকে, বুকে যার
ফণিমনসার বন দ্রুত বেড়ে যায়।

কী করে উপড়ে ফেলি নিজেরই হৃৎপিণ্ড অকস্মাৎ?
থাক শাদা লাঠি হাতে।