সেই একই দোষ

সেই কবে দাওয়ায় বসে শীতের রোদ্দুরে জ্ঞানবান
ময় মুরুব্বির মুখে শুনতাম মধ্যে-মধ্যে, “শোনো হে বোবার
শক্র নেই। চল্‌তি পথে লোকজন হাইকোর্ট দেখাতে চাইলে
মুখ বুজে থেকো আর কস্মিনকালেও সাত চড়ে করো না রা,
বোঝোই তো শুধু রোদে চুলদাড়ি হয়নি রূপালি।

কিন্তু কী জানেন, অদৃষ্টের ফেরে নই অনবোলা,
তাই বেলা অবেলায় আত্‌কা মুখ থেকে ফেটে পড়ে
কথা, মানে কোদালকে কোদাল বলেই
বেজায় নাড়িয়ে দিই তল্পি তল্পা উদ্বেল বাজারে।
মেলার উচ্ছিষ্ট নিয়ে কখনো চলে কি হাট? তদুপরি দিনদুপুরেই
স্পষ্ট দেখি, ডাকাত দোকানপাট করে তছনছ।
কেউ বা সাম্যের গান গেয়ে কারবারে হচ্ছে লাল রাতারাতি,
পক্ষান্তরে দেনায় বিকোয় বাস্তুভিটা কারো কারো।
যেহেতু ছিলনা হাতে সাবধানী হ্যাজাক লণ্ঠন,
পড়েছি হোঁচট খেয়ে খানা খন্দে। অতঃপর ভরাট আঁধারে
বাঁচান নগদ মূল্য সঠিক বুঝিয়ে দিতে চায়
চামচিকে লাথি মেরে। বেগতিক, তবুও তো মুখ খুলি স্বভাবদোষেই।