সহমর্মিতা

আমাকে বিষণ্ণ দেখে একটি অচিন পাখি এসে
নিঃশব্দে টেবিলে বসে নিশ্চিন্ত মুদ্রায়,
যেন তার কোনও ক্ষতি করবে না কবি, ভাবনাটা
এরকম। আমার মাথায় ওড়ে বহুদিনকার
তেলহীন চুল, নিরুনির স্পর্শ আজ
পড়েনি, পাখিটি দ্যাখে খুঁটিয়ে আমাকে।

পাখিও আমারই মতো ব্যথিত, একাকী
একজন, তারও আছে কিছু
বলবার কথা, যা গাছের
সবুজ পাতায়, মেঘে, রাঙা গোধূলিতে লেগে আছে।

যার সঙ্গ জীবনকে মোহনীয় করেছে, এখন
সে এখানে নেই-
এ-কথা পাখিটি নীলিমার, নক্ষত্রের
কাছ থেকে সহজে নিয়েছে জেনে, বুঝি তাই এসে
বসেছে টেবিলে সহমর্মিতার ভাষা
ঠোঁটে নিয়ে; বড় মানবিক আজ মনে হলো তাকে।
পাখিটির একাকিত্ব স্তব্ধ হয়ে রয়
আমার আপন ঘরে, টেবিলের কাঠে আর সাদা
বুকশেলফের পূর্ণতায় কবেকার
কিছু স্মৃতি খণ্ড খণ্ড কাহিনী ধারণ
করে আছে, পাখি
সেগুলো ডানায় নিয়ে উড়ে যাবে নক্ষত্রের দিকে-
কিছু মেঘে, কিছু সরোবরে
চূর্ণিত রইবে মিশে হাহাকার ব্যাপক ছড়িয়ে।