সমান্তরাল

পাঠ শুনুন, সেই গল্পে-পড়া বিষণ্ন, অধীর
বুলবুলিটার কথা মনে পড়ে? বসন্ত-মদির
বাগানের খয়েরী ডালের শাদা গোলাপকে লাল
বানানোর অভিলাষে অস্তিত্বের সূক্ষ্ম তন্তুজাল
কাঁপিয়ে অমোঘ ছন্দে সারারাত গেয়েছিল গান
সতৃষ্ণ কাঁটায় ঝোড়ো বুক পেতে। ভোরে সে বাগান
কবরের মতো স্তব্ধ, চতুর্দিকে আশ্চর্য সৌরভ
রইলো জেগে, ফ্যাকাশে গোলাপ পেলো রক্তাক্ত গৌরব।
পাঠক গল্পের সেই

বুলবুলিটাকে মনে পড়ে?
মনে পড়ে রক্তস্নান? সেইমতো আমিও এ ঘরে
জ্বর-তপ্ত, স্বর-মত্ত, বুক রেখে বালিশের মেঘে
আবেগের পালতোলা নৌকোর গলুইয়ে রাত জেগে
কাগজের শুভ্রতায় শব্দের নক্ষত্রপুঞ্জ আনি
শূন্য ছেনে। আপনারা সেসব শব্দের রাজধানী
হয়তোবা দেখবেন সুশীতল ছাপার অক্ষরে
কোনোদিন। পাঠক, তখন পাতা-জোড়া থরে থরে
সাজানো শব্দের গায়ে, বলুনতো, অধীর আমার
হৃৎপিণ্ডের রক্তকণা পড়বে কি চোখে আপনার?