সর্বত্র কাঁটার ক্রোধ

একা আছি বহুক্ষণ খন্ড খন্ড বৈভবরহিত
চিহ্ন নিয়ে প্রয়াসের, যেমন বালক অসহায়
ব’সে থাকে নৌকা বানাবার অভিলাষে দোমড়ানো
মোচড়ানো কাগজের স্তুপে। আমি কি ভুলেছি মন্ত্র?

একা আছি নিদ্রাহীন খরার উত্তাপে, বর্ষণের
প্রতীক্ষায়; পুড়ে যায় মুখ, গাছের সবুজ আর
দগ্ধ পক্ষী কণ্ঠ, স্বেদ জমে পাথরের বুকে, হাওয়া
হঙ্কা, ধোঁয়া ওঠে কর্দমাক্ত জলাশয়ে অবিরত।
আমি শূন্য এতকাল পর প্রৌঢ়তার প্রান্তসীমা
ছুঁয়ে, কোন্‌ শাপে লুপ্ত মনোমুগ্ধকর রঙধনু
কণ্ঠের ভেতর? না কি নই আর ক্ষিপ্র চেষ্টাশীল?
ফুলের সংসর্গে কেটে যাবে বেলা, এ বিশ্বাস ছিল
প্রষ্ফুটিত, অথচ কাঁটার ক্রোধ সর্বত্র, শব্দেরা
উচ্চারণযোগ্য নয়, স্তব্ধতাই আরাধ্য এখন।

১৮।৬।৯১