স্পন্দমান শ্যামল পল্লব

পুরিয়া ধানেশ্রী শুনে অপরাহ্নে তিনটি হরিণ
কোমল আসবে বলে বসে আছো নিরালায় হাত-পা
ছড়িয়ে, উঠোনে উর্দি পোহাচ্ছে নিস্তেজ রোদ, তুমি
ক্লান্তমনে চিঠি লেখো। পত্রে মৃত কবিদের কিছু
পংক্তি অবেলায় খুব মোহন সজীব হয়ে ওঠে।
নানা ফটোগ্রাফে বন্দি শৈশব কৈশোর কিং। হৈ হৈ
যৌবন সহসা জ্বলজ্বলে গান গায় গলা ছেড়ে।

চিঠিতে ইমন বাজে, সেতু ভাঙে, সারি সারি বাড়ি
ধূলিসাৎ, এ্যামবুলেন্স দ্রুত ছোটে, সঙ্গীর আঙ্গুলে
নিভে-যাওয়া সিগারেট, চোখ নীলিমায় কী হিমেল
ওল্টানো এবং কারো উষ্ণ রমণীয় ঠোঁট স্মৃতি
হয়ে গলে যায় আর চোখের পাতায় বৃষ্টি নিয়ে
পথ হাঁটে একজন। বন্দুকের নল স্বপ্ন দ্যাখে
রূপসীর হাতে মৃদু স্পন্দমান শ্যামল পল্লব।