তা হ’লে নির্ঘাত বজ্রপাত

আমাকে কি ছেড়ে যাবে সে হঠাৎ এই গোধূলিতে?
তা হ’লে নির্ঘাৎ বজ্রপাত,
পুড়ে হব ছাই; ভয়ে-ভয়ে থাকি দিনরাত। নিদ্রাহীন
কত যে প্রহর কাটে; চোখে চোখে রাখি
তাকে, রক্ত শুষে তৃপ্ত থাকে। তবু তার ছলনার
অন্ত নেই, আমার নিকট স্পষ্ট দাবি করে সন্তের জীবন।

মাঝে মাঝে কী এক খেয়ালে চলে যায়, মিশে যায়
হাওয়া, দেয়ালে মাথা ঠুকি
বার বার; আহার রোচে না মুখে, ঝুঁকি নিয়ে যাই
উত্তপ্ত তামাটে পথে, জলাভূমি আর
খাদের কিনারে খুঁজি তাকে, খুঁজি সাপের ফণায়;
এভাবেই পরমায়ু-পুঁজি দ্রুত শেষ হতে থাকে।

‘দাঁড়াও, আমাকে বর্জ্য ভেবে কুম্ভীপাকে
ফেলে যাও কেন, আমাকে কি করেছে দখল কুষ্ঠ’,
বলতে পারি না তাকে অভিমানে। কী এক ভাটার
টানে চলে যায়, যেন তার
ঘুঙুরবিহীন পদযুগ কোনোদিন নেচে নেচে
এই বোবা দেয়ালকে করেনি সঙ্গীত।

এরকম অন্তর্ধান তার কতবার,
রাখিনি হিসের; উদ্বেগের কাঁটা বুকে নিয়ে শুধু
মুহূর্তে, মিনিট, ঘন্টা চিবিয়ে খেয়েছি,
এবং নিদ্রার রেণু চোখ থেকে সরিয়ে প্রচ্ছন্ন দরজায়
আমার দু’চোখ শত চোখ হ’য়ে গাঁথা,
যদি তার ছায়া এসে বলে, ‘ওঠো।’

৪।৪।৯১