তাঁর উপদেশ সত্ত্বেও

সেই কবি আমি শার্ট আর ট্রাউজারের জঙ্গলে
প্রবেশ করেছি; বুটিদার জ্বলজ্বলে
কারুকাজময়
কত শার্ট আর কত রঙের বাহার।
চতুর্দিকে স্তূপ স্তূপ কোট, টাই, ফুল্ল জামিয়ার
আমার দু’চোখে আনে এভারেস্ট দেখার বিস্ময়।

হতভম্ব আমাকে জঙ্গলে দেখে একজন অনশনক্লিষ্ট
দরবেশ বললেন, ‘হয়ো না আবিষ্ট,
বরং গ্রহণ কর জামার সন্ন্যাস,
হও নাঙা বৃক্ষের মতন, যেন লকলকে ঘাস
তুমি, ভেবে নাও। অনন্তর আমার সে দীক্ষাগুরু,
অনশ্বর রৌদ্রে নাঙা ঘূর্ণি নাচ করলেন শুরু।

এরপরও কেটে গেছে দীর্ঘ কতকাল-
হা কপাল, এ আমার কেমন বন্ধন দশা আজো অব্যাহত!
বিশ শতকের অস্তরাগে স্বভাবত
আমার নিজস্ব মনোনীত প্রতারক বৃক্ষচ্ছায়ে
একাকী দাঁড়িয়ে আছি কশিদায় স্মিত মেরুন পাঞ্জাবি গায়ে।