তারা ক’টি যুবা

তারা ক’টি যুবা হিংস্র যুদ্ধে
ভাবে না কখনো জিৎ কার, হার কার?
দেয়ালে দেয়াল শুধু সেঁটে দেয়
লাল গোলাপের নতুন ইস্তাহার।

গত শতকের সুড়ঙ্গ থেকে
শক্র শিবিরে আনে স্বপ্নের হাড়-
সে-হাড় দেখিয়ে বলে সবাইকে
‘দ্যাখো এর ছিরি, ক্ষয়িত তীক্ষ্ণ ধার!’
অসম্ভবে ছড়া কেটে তারা
নৌকো ভাসায়, হোক না তা’ বানচাল।
দাঁড় নেই তার, মাল্লা মাতাল;
বস্তুত নেই এমন কি ছেঁড়া পাল।

দুঃখ তাদের কাণ্ডারী তবু
মহাযাত্রায় পড়ে না কখনো ছেদ।
প্রবঞ্চনার চোয়ালে ঘুমিয়ে
রাত্রি কাটায়, তাতেও নেইকো’ খেদ।

ফিরে এসে দ্যাখে হাঁটু মুড়ে বসে
বিশ্বাস কাঁদে, উড়ে গেছে ভিত তার।
কারা যেন সব ফেরি করে রোজ
নর কংকাল-দিকে দিকে চীৎকার।

গোঁড়ামি এখানে উলঙ্গ রাজা;
যুক্তি, বিবেক ইত্যাদি ক্রীতদাস।
সময় বন্দি বদ্ধ জলায়,
মুকুট পরেছে দারুণ সর্বনাশ!
তারা কি’টি যুবা স্বভাবদোষেই
গৃহস্থালির মর্ম বোঝে না আর!
যাত্রার গানে ঊর্মিল পেশী,
বেহালা হলো যে নৌকোর সব দাঁড়।

বয়েসী পিতার অনুনয় ছিঁড়ে
দু’হাতে সরায় নারীর অলক দাম।
যা হবার হবে, ঘর থাক পড়ে-
ভোলায় না মন পুত্রের ডাক নাম।

তারা ক’টি যুবা এখানে জাগায়
আত্মার মহা তৃষ্ণার হাহাকার।
মনের দেয়ালে সেঁটে দেয় ফের
লাল গোলাপের নতুন ইস্তাহার।