তবুও বাঁচতে চাই

ক’বছর কেটে গেছে, পথের নিস্পৃহ ধুলোকণা
ছোঁয়য় না আমার পদযুগ। আমার শুভর্থীগণ
খোলাপথে হেঁটে যেতে করেন বারণ বারবার।
কেননা তাদের মতে, বহুরূপী বিপদের ঝুঁকি
ফাঁদ পেতে আছে
আমার উদ্দেশে চারদিকে। ধাবমান মোটরের
গুহা থেকে রাইফেল অথবা কুঠার
কিংবা আচমকা কোনও পথচারীর ভীষণ চকচকে
ছোরা বড় বেশি রক্তপায়ী হয়ে উঠবে আমার
কোনও নীলনকশার নির্দেশে

তাহ’লে কি মেঘে মেঘে হাঁটব একাকী? সন্ধ্যারাতে
উঠব আড্ডায় মেতে অতিদূর নক্ষত্রপাড়ায়
মধ্যবিত্ত জীবন রক্ষার অসম্ভব তাড়নায়? কিন্তু এই
বিপন্ন মানুষ আমি কীভাবে থাকব প্রিয়জন
আর এই শিশুদের ছেড়ে যাদের কাঙ্ক্ষিত সান্নিধ্যের স্নিগ্ধ
তাপ নিত্য করি উপভোগ? খাঁটি বন্ধুদের মুখ
দেখতে পাব না, বুদ্ধিদীপ্ত কথা শ্রুতির বাইরে
থাকবে সর্বদা, ভাবাটাই মুশকিল। এখানেই
এই হট্টগোলে, এই হাঙ্গামায়, প্রিয়জনদের
ভালোবাসা, আন্তরিকতার অপরূপ সুঘ্রাণে বাঁচতে চাই।