ভাস্বর পুরুষ

তুমি কি মিলিয়ে গেলে শূন্যতায় ভাস্বর পুরুষ?
না, তুমি নিদ্রিত দ্বিপ্রহরে;
যেন যুদ্ধ বিরতির পর কোনো পরিশ্রান্ত সেননী বিশ্রামে
ভরপুর। তোমার নিদ্রার মসলিন
কিছুতে হবে না ছিন্ন চিলের কান্নায়, প্রতিবাদী
মানুষের যৌথ পদধ্বনিতে অথবা
রক্তগোলাপের মতো পতাকার জাগর স্বননে,
জোয়ারের প্রবল উচ্চাসে।

তোমার নিস্পন্দ, প্রাজ্ঞ চোখের পাতায়
ঘুমিয়ে রয়েছে আমাদের স্বপ্নসমুদয় আর
অনেক আকাঙ্খাস্তব্ধ তোমার বাহুতে, শপথের
বাক্যগুলি নিদ্রিত ওষ্ঠের তটে পুনরায় জেগে
উঠবার প্রত্যাশায়। দশদিক থেকে
নম্র পায়ে লোক আসে অর্ঘ্য দিতে আজ
তোমারই উদ্দেশে হে নন্দিত কিংবদন্তি। সকলের
মাঝে ছিলে; কৃষক, মজুর, ছাত্র- সবার হৃদয়ে
করেছো রোপণ
মানবিক বীজ নিত্য কর্মিষ্ঠ চাষীর মতো। জাগো,
জেগে ওঠো স্বতন্ত্র মানব
পৃথিবীর রৌদ্রে ফের ঝেড়ে ফেলে মৃত্যুর তুষার।

ভাস্বর পুরুষ, সংগ্রামকে জীবনের সানসত্য
জেনে তুমি নিয়ত হেঁটেছো পথে। যেখানে তোমার পদচ্ছাপ
পড়েছে প্রগাঢ় হয়ে, সেখানেই সাম্যবাদ চোখ মেলবার
অভিলাষ করেছে প্রকাশ। কী ব্যপক মমতায়
তাকিয়েছো বার বার ভবিষ্যের দিকে। প্রগতির
প্রসিদ্ধ চারণ জাগো, জেগে ওঠে, চেয়ে দ্যাখো-
করোনি শাসন কোনোদিন তবু বাংলাদেশ আজ
তোমাকেই গার্ড অব অনার জানায়।

২।১।৯১