শরীর দিয়েছ শুধু, বর্মখানি ভুলে গেছ দিতে

‘ও যখন প্রতিরাত্রে মুখে নিয়ে এক লক্ষ ক্ষত
আমার ঘরের দরজা খোলা পেয়ে ফিরে আসে ঘরে
দাঁড়ায় দুয়ারপ্রান্তে সমস্ত বিশ্বের স্তব্ধতায়
শরীর বাঁকিয়ে ধরে দিগন্তের থেকে শীর্ষাকাশ
আর মুখে জ্বলে থাকে লক্ষ লক্ষ তারার দাহন
অবলম্বহীন ঐ গরিমার থেকে ঝুঁকে পড়ে
মনে হয় এই বুঝি ধর্মাধর্মজ্ঞানহেন দেহ
মুহূর্তে মূর্ছিত হল আমার পায়ের তীর্থতলে-
শূন্য থেকে শূন্যতায় নিরাকার অস্ফূট নিশ্বাস
মধ্যযামিনীর স্পন্দে শব্দহীন হল, তখনও সে
দূর দেশে দূর কালে দূর পৃথিবীকে ডেকে বলে :
এত যদি ব্যূহ চক্র তীর তীরন্দাজ, তবে কেন
শরীর দিয়েছ শুধু, বর্মখানি ভুলে গেছ দিতে !”