ডিসেম্বর ১৯৭০

৩০ ডিসেম্বর (বুধবার)
ভি. এম. জলকপোত।। রাত ১১টা
সারা দিনের প্রতীক্ষার পর রাত ৮টায় রিলিফ কমিশনারের কাছে থেকে চিঠি নিয়ে ভি. এম. জলকপোত-এ এলাম। ৪৫ জন আমরা মহিলা রিলিফ কমিটির কাজে চলছি ধানখালি চরে।
মহিলা রিলিফ কমিটির সঙ্গীরা: সুলতানা জামান, মিসেস মজিদ (জ্যোৎস্না), মিসেস আজীজ (ঝুনুর মা), হোসনে আরা চৌধুরী, মিসেস আমীন (বেবী), আয়েশা জাফর, ফাতেমা খানম, মালেকা বেগম, হুরমতুন্নেসা ওদুদ, লুবনা, শিরিন, নুসরাত, সাঈদা জাফর, আরিফা সালাউদ্দীন, রুমী ইমাম, তকী নসরুল্লাহ, মোস্তফা আজীজ, চুঙ্কু আমীন, গুল্লু, সফু।
গত ১০ তারিখে ধানখালিতে সামান্য মাৰ্য্য দেওয়া হয়েছিল। ওরা বলেছে, সুফিয়া কামাল এসেছে না; মা ফাতেমা এসেছে। একবার আমাদের এখানে থামতে হবে। থামা হয়নি। বলেছিলাম আবার আসব। কিন্তু চর বিশ্বাস ও চর সাগস্তিতে আমাদের রিলিফদ্রব্য শেষ হওয়াতে আর ধানখালি যেতে পারিনি। ওরা বলেছিল- না এলে রোজ হাশর পর্যন্ত দাবী রাখব। আল্লাহ সে দাবী থেকে মুক্তি দেবার জন্যই এবার রিলিফ কমিশনারের মুখ থেকেই ধানখালি যাবার কথা বের হল।
১১টায় ‘জলকপোত’ ঢাকা ছাড়ল। আল্লাহ ভরসা। কবে পৌঁছাব দেখা যাক। বাড়ীতে ওয়ারলেস-এ ঢাকা ত্যাগের খবর দিলাম।

৩১ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার)
রাত ১১টা
বেলা ১২টায় এলাম বরিশাল-৪ ঘণ্টা খামখা বরিশালে কাটল কয়লার জন্য। সন্ধ্যা ৭টায় পটুয়াখালী। রিলিফ অফিসার ও আজাদ সাহেব দেখা করে দুই ঘণ্টা কাটিয়ে গেলেন। লঞ্চ ছাড়ল।