পত্র – ১৬

অরুণ,

বিয়ের দিন২৭ সকাল বেলায় তোর চিঠি পেলাম। তোর কথা মতো শুধু বিশ্বনাথকে ‘জনযুদ্ধ’ দেওয়ার সুযোগ পেলাম না বিয়ের কাজের চাপে। অন্য অনুরোধগুলো রাখবার চেষ্টা করব।

এই চিঠির প্রধান আলোচ্য বিষয় বিয়ে এবং বিয়েও হয়ে গেল দুদিন হল। আজ ফুলশয্যা। বিয়েটা আমার ভাল লাগে নি, বরং খুব নিরানন্দেই কেটেছে। বিশেষ করে আদর এবং সম্মান পাওয়ায় অভ্যস্ত আমি, মোটেই সম্মান পাই নি কোথাও, ভাঁড়ের মতো আমার অবস্থা।

বিয়ের দিন বিকেলে এসে…….. রাত্রিতে ফিরে গিয়েছিল। আবার কাল সন্ধ্যায় এসে ‘যাই-যাই’ করেও রয়ে গেছে। এইমাত্র ও এই ঘরে শুয়ে লেনিনের জীবনী পড়তে পড়তে উঠে গেল। (ওর নম্রতায় আমি মুগ্ধ!) ও আমার ঘরের দরজার কাছে এসে দাঁড়াল। তারপর চলে গেল। আমার ডানপাশে খাটের উপর ঘুমিয়ে নববধূ (মন্দ নয়)। মেঝেতে মেজবৌদি২৮ এবং ভূপেন। বেলা প্রায় পাঁচটা। এই আবহাওয়ায় লেখা খুব অস্বস্তিকর হয়ে উঠেছে; কয়েক দিন বিয়ের জন্যে পার্টির কাজের কামাই হয়ে গেল। হয়তো তোদের ওখানে যেতে পারব না ছুটি না পেয়ে। না গেলে কি ক্ষমা করতে পারবি না?

৯/৬/৪৪

সুকান্ত ভট্টাচার্য

আমি যাই আর না-যাই ১৫ তারিখের মধ্যে তুই কলকাতায় ফিরিস। ১৫ই [A.I.S.F Conference]