কানে খাটো বংশীধর

কানে খাটো বংশীধর যয় মামাবাড়ি,
গুন্‌গুনে গান গায় আর নাড়ে দাড়ি।।
চলেছে সে একমনে ভাবে ভরপূর,
সহসা বাজিল কানে সুমধুর সুর।।
বংশীধর বলে, “আহা, না জানি কি পাখি
সুদূরে মধুর গায় আড়ালেতে থাকি।।
দেখ, দেখ সুরে তার কত বাহাদুরি,
কালোয়াতি গলা যেন খেলে কারিকুরি।”
এদিকে বেড়াল ভাবে, ‘এযে বড়াে দায়,
প্রাণ যদি থাকে তবে ল্যাজখানি যায়।।
গলা ছেড়ে চেঁচামেচি এত করি হায়,
তবু যে ছাড়ে না বেটা, কি করি উপায়।।
আর তাে চলে না সহা এত বাড়াবাড়ি,
যা থাকে কপালে দেই এক থাবা মারি।।’
বংশীধর ভাবে, ‘একি! বেসুর যে করে,
গলা গেছে ভেঙে তাই ‘ফ্যাঁস্’ সুর ধরে।।
হেনকালে বেরসিক বেড়ালের চাঁটি,
একেবারে সব গান করে দিল মাটি।