অবুঝ

চুপ করে থাক, তর্ক করার বদভ্যাসটি ভালো না,
এক্কেবারেই হয় না ওতে বুদ্ধিশক্তির চালনা।
দেখ তাে দেখি অজিও আমার মনের তেজটি নেভে নি-
এইবার শোন বলছি এখন- কি বলছিলেম ভেবেনি।
বলছিলাম কি, আমি একটা বই লিখেছি কবিতার
উঁচুরকম পদ্যে লেখা আগা গোড়াই সবই তার।
তাইতে আছে “দশমুখে চায়, হজম করে দশোধর,
মশানঘাটে শম্পানি খায় শশব্যস্ত শশধর।”
এই কথাটার অর্থ যে কি, ভাবছে না কেউ মোটেও-
বুঝছে না কেউ লাভ হবে কি, অর্থ যদি জোটেও।
এরই মধ্যে হাই তুলিস্ যে? পুঁতে ফেল্‌ব এখনি,
ঘুঘু দেখেই নাচ্‌তে শুরু, ফাঁদ তো বাবা দেখ নি!
কি বললি তুই? সাতান্নবার শুনেছিস্‌ ঐ কথাটা?
এমন মিথ্যে কইতে পারিস্ লক্ষ্মীছাড়া বখাটা!
আমার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সাধ্যি নেই কো পেরোবার
হিসেব দেব, বলেছি এই চোদ্দোবার কি তেরোবার।
সাতান্ন তুই গুনতে পারিস্‌? মিথ্যাবাদী। গুনে যা-
ও শ্যামদাস! পালাস্‌ কেন? রাগ করিনি, শুনে যা।